নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়া সমাবেশের জন্য বিকল্প দুটি জায়গার নাম চেয়ে পুলিশের পক্ষে থেকে বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির জবাবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনেই আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অন্য কোনো ভেন্যুতে যাওয়া সম্ভব হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) পল্টন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সালাউদ্দিন মিয়া বরাবর পাঠানো বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পাল্টা চিঠিতে এ কথা জানানো হয়। একইসঙ্গে পুলিশের পক্ষে থেকে জানতে চাওয়া ৬টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় চিঠিতে।
ডিএমপিকে দেওয়া চিঠিতে বিএনপি আরও জানিয়েছে— সমাবেশে দুপুর ২টায় শুরু হবে এবং মাগরিবের পূর্বে শেষ হবে। সমাবেশে ১ লাখ থেকে সোয়া লাখ লোকের সমাগম হবে।
ভোটের যে হিসাবে ক্ষমতায় আসতে পারে বিএনপি এতে আরও বলা হয়, সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের লোক অংশ নেবে না। সমাবেশে শৃঙ্খলা রক্ষায় নিজস্ব ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া সমাবেশটি পশ্চিমে বিজয়নগর মোড় আর পূর্বে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। সমাবেশ বক্তব্য প্রচারে বিজয় নগর থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত কিছুদূর অন্তত-অন্তর মাইক লাগানো হবে।
বিএনপির এই সমাবেশের দিনে সমাবেশ করতে চায় আওয়ামী লীগও। সে জন্য তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট বেছে নিয়েছিল। তবে পুলিশ তাদের কাছে বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব দিলে বিকল্প হিসেবে তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের নাম দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত বিএনপি-আওয়ামী লীগ কোনো দলকেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে।