খাগড়াছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সীমান্ত ঘেঁষা পানছড়ির লোগাঙ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের অনিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের সকলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফের নেতাকর্মী।
নিহতরা হলেন— পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন ত্রিপুরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, বাড়িতে ঢুকে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ গনতান্ত্রিককে নব্যমুখোশধারী আখ্যায়িত করে নিন্দা প্রকাশ করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনায় ইউপিডিএফের নেতা হরি কমল চাকমা ও নীতিদত্ত চাকমাসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান তিনি।
তবে ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা।
পানছড়ি উপজেলার প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্রদেব চাকমা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঘটনাস্থলে এখনও চারটি লাশ পড়ে আছে। বিষয়টি পানছড়ি থানার ওসিকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ওসি মো. শফিউল আজম আজকের বেলাকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা আমাকে জানিয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছি।