চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ৫২’এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে অসাম্প্রদায়িক ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক চেতনার বীজ বপিত হয় তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত লড়াই- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিজয় বাঙালি জাতিসত্তার স্বাধীন স্বদেশ ভূমি বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মুক্তিকামী জনতার প্রেরণার উৎস এবং মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীন অস্তিত্ব রক্ষার ঠিকানা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরের থিয়েটার ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ভাষা আন্দোলন শুধুমাত্র ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। আর ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের চূড়ান্ত লড়াই- সংগ্রাম। কিন্তু দু:খের সঙ্গে বলতে হয় এই লড়াইয়ে বাঙালি জিতলেও বিগত ৬৮ বছর পরও সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রচলন হয়নি। এটা আমাদের জাতিগত হীনমন্যতা ও বিকৃত মানসিকতার একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া। কারণ এখনও দেখি আমরা অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে বুঝে হউক বা না বুঝে হউক মাতৃভাষার পরিবর্তে ইংরেজি ও বিদেশি ভাষা ব্যবহার করি। এটা নিজের জাতিসত্তা ও স্বাতন্ত্রকে অমর্যাদা ও অবমাননা করার সামিল।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ কে এম বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, তথ্য গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী ও কার্য নির্বাহী সদস্য মোহাব্বত আলী খান প্রমুখ।