আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, মূল্য পরিস্থিতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। রোজা ও ঈদ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পর্যালোচনা সভায় এসব নির্দেশনা তুলে ধরা হয়। এ সময় নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
পর্যালোচনা সভা সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাসে কোনোভাবেই যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মজুতদারি রোধে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলা হয়েছে। ইফতার ও সেহরিতে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের রোজায় দেশে অনেক বেশি খাদ্য ও নিত্য পণ্যের মজুদ আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আছে। রোজার প্রস্তুতি আমরা যথাযথভাবে নিতে পেরেছি। যখন যার যা প্রয়োজন তা নিলে কারো কোনো সমস্যা হবে না। আমরা খুব ভালোভাবে রোজা ও ঈদ উদযাপন করতে পারব।
তিনি বলেন, রোজার সময় নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সরবরাহ শৃঙ্খলা যাতে ঠিক থাকে, সেজন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে। ওএমএস কর্মসূচি ও টিসিবির মাধ্যমে রোজা ও ঈদ ঘিরে দুই কিস্তিতে এবার খাদ্য পণ্য সরবরাহ করা হবে। তেল, চিনি ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর আমরা দুইবার করে এক কোটি মানুষকে দেব। রোজায় মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দিয়েছেন। সবাইকে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
বৈঠকে সহজে টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, নৌপথে ফেরি পাড়ানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আকাশ পথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাড়ানো এবং গার্মেন্টস অফ পাটকল শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), সেতু বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, কাজ কর খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা।