রোজার ঈদের আগেই এমবি আবদুল্লাহর নাবিক ও জাহাজটি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ। সে হিসেবে সব ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সাজিয়ে নেওয়া হয়েছে। নাবিকরা মুক্তি পেলে দুবাই হয়ে বিমানযোগে দেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে মালিকপক্ষের।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম আজকের বেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমালিয়ান জলদস্যুদের সঙ্গে জাহাজের মালিকপক্ষের যোগাযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত জলদস্যুদের কাছ থেকে কোনো ধরনের মুক্তিপণের দাবি আসেনি। তবে ১৩ বছর আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রোজার ঈদের আগে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা রয়েছে। সে লক্ষ্যে কিছু আগাম পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, জলদস্যুরা এখন জাহাজের খাবার ব্যবহার করছে না। তারা বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার ও পানি সংকট
সূত্র জানায়, বিমাকারী প্রতিষ্ঠান প্রোটেকশন অ্যান্ড ইনডেমনিটি (পিঅ্যান্ডআই) এবং ক্রাইসিস টোয়েন্টিফোর জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে কাজ করছে। নাবিকরা মুক্তি পেলে প্রথমে তাদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বিমানে করে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া জাহাজ ফিরিয়ে আনার জন্য অপর একটি দলকে পাঠানো হবে, সেটিও ঠিক করে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ বেলা দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। এর আগে ২০১০ সালে একই কোম্পানির এমভি জাহানমণি জাহাজটি সোমালিয়ার জলসদ্যুরা ছিনতাই করেছিল।