বেতন-ভাতা ও ছুটি নিয়ে মাস্টারের প্রতি ক্ষোভের জের ধরে ৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এমভি আল বাখেরা জাহাজের লস্কর আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর উপ অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন।
এর আগে চাঁদপুরের জাহাজে সাতজন খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত ইরফানকে মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাটের চিতলমারি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় ইরফানের ব্যবহৃত মোবাইল, ঘুমের ওষুধ, নিহতদের ব্যবহৃত মোবাইল, ব্যাগ, রক্তমাখা জিন্সের প্যান্ট ও গ্লাভস জব্দ করেছে র্যাব।
নিহতরা হলেন— জাহাজের মাস্টার ফরিদপুর জোয়াইর উপজেলার মো. গোলাম কিবরিয়া (৬৫), তার ভাগনে জাহাজের লস্কর শেখ সবুজ (৩৫), সুকানী নড়াইল লোহাগড়ার আমিনুল মুন্সী (৪০), লস্কর মাগুরার মোহাম্মদপুর এলাকার মো. মাজেদুল ইসলাম (১৭), একই এলাকার লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬), নড়াইল লোহাগড়া এলাকার জাহাজের ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন মোল্লা (৪০) ও মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর থানার জাহাজের বাবুর্চি রানা (২০)।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জাহাজ মালিকের পক্ষে মো. মাহবুব মোরশেদ বাদী হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করেন। মাহবুব মোরশেদের বাড়ি ঢাকার দোহার এলাকায়। এতে খুন ও ডাকাতির অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।