চট্টগ্রাম বন্দরে প্রকাশ্য নিলামে ২৫ টন আপেল বিক্রি করা হবে। সর্বোচ্চ দর হাঁকিয়ে যে কেউ এই আপেল কিনে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার হল রুমে অনুষ্ঠিত হবে এই নিলাম।
আপেলের পাশাপাশি ১২ মেট্রিক টন প্রিমিয়াম এনজাইম সলিউশনও (নন-আয়নিক সারফেস অ্যাক্টিভ এজেন্ট মেগা ডিএক্সপ্লাস) বিক্রি হবে নিলামে।
২৫,৪৯৯ কেজি ওজনের এসব আপেলের সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৪২ লাখ ৩৫ হাজর ৫৪৯ টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি দর দাঁড়ায় ১৬৬ টাকা। ১২ মেট্রিক টন প্রিমিয়াম এনজাইম সলিউশনের সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৫ টাকা।
এদিকে আপেল ও কেমিক্যালের প্রকাশ্য নিলাম উপলক্ষে বুধবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আশপাশের এলাকার মাইকিং করা হয়েছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, নিয়ম অনুযায়ী জাহাজ থেকে বন্দরে নামানোর ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করে নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য খালাস না করলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না করলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বাস্তবে নিলামে তুলতে দীর্ঘসময় লেগে যায় কাস্টমসের। এই আপেলও তিন মাসের মধ্যে খালাস না করায় নিলামে তোলা হল।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার আবদুল হান্নান বলেন, সাধারণ নিয়মে নিলামের পাশাপাশি পচনশীল পণ্য উন্মুক্ত টেন্ডার বা প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এর ধারাবাহিকতায় আপেল এবং কেমিক্যাল পণ্য প্রকাশ্য নিলামে তোলা হচ্ছে।
কাস্টমসের নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কেএম কর্পোরেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, আশা করছি নিলামে বিডাররা প্রত্যাশিত দামেই আপেল ক্রয় করবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান নান্না জানান, চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোডের মদিনা বাণিজ্যালয় চীন থেকে গত এপ্রিলে ২৫,৪৯৯ কেজি আপেল আমদানি করে। আর ঢাকার আশুলিয়ার আমদানিকারক জার্মান কেমিক্যাল লি: চীন থেকে প্রিমিয়াম এনজাইম সলিউশন আমদানি করেছিল। তাদের কেউই পণ্য খালাস করেনি।
মদিনা বাণিজ্যালয়ের মালিক মো. জাকির হোসেন বলেন, এপ্রিলে ফল আমদানির পর শুল্ক প্রায় ৪০%-এর মতো বাড়িয়ে দেয় সরকার। আবার ফল পৌঁছায়ও দেরিতে। তাই আপেলের মান কমে যাওয়ার শঙ্কা। পাশাপাশি শুল্ক বাড়ায় আর বন্দরের বাড়তি খরচ না করে সেই চালান খালাস করেননি তিনি।
তবে আমদানির ছয় মাস পর আপেলের মান ভালো থাকবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে কাস্টমসের নিলামে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, পচনশীল পণ্য সময়মতো নিলামে না তোলার কারণে কনটেইনারেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।