‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নগরের বাকলিয়ার শাহ আমানত সেতু এলাকা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা পুলিশের উপস্থিতি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে তারা ইটের টুকরো ছুঁড়ে মারেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ছোঁড়ে পুলিশ। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আটক করা হয় একজনকে।
এর আগে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল করলেও বিক্ষোভ শুরুর পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বিক্ষোভে যোগ দেওয়া চবি শিক্ষার্থী মো. আলী বলেন, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা প্রায় ৫০০ জন সেখানে জড়ো হয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি। পুলিশের ওপর তারা পাল্টা আক্রমণ করেছে। তাদের যে আক্রমণাত্মক ভঙ্গি, এরা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের হতে পারে না। আপনারা (সাংবাদিক), আমরা এবং জনগণ দেখেছে এখানে তারা অসৎ উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ করার জন্য এবং নাশকতা সৃষ্টির জন্য সমবেত হয়েছিলো।
উপ-কমিশনার আরও বলেন, যান চলাচল সারাদিন স্বাভাবিক থাকবে। বে-আইনি কোনো কর্মকাণ্ড আমরা বরদাস্ত করবো না। আমরা অবশ্যই যৌক্তিক আন্দোলনে সহমর্মিতা জানাই। তবে সেই সুযোগে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে, হামলা করে, আগুন দিয়ে জনজীবনে অস্থিতিশীল পরিবেশ যারা তৈরি করছে, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।