চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সন্ধা ছয়টার মধ্যে ছাত্রীদের রাত ৯টার মধ্যে ছাত্রদের আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে ক্যাম্পাসের ১ কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত কটেজ, মেস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য আজকে দুপুর আড়াইটা থেকে রাত পর্যন্ত চবির শাটল ট্রেন চলাচল করবে। এরপর শাটল ট্রেনও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
আবাসিক হলগুলোতে প্রতিটি কক্ষ সিলগালা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান চবি প্রক্টর ড. অহিদুল আলম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য ড. নঈম হাছান চৌধুরী আওরঙ্গজেব বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ক্যাম্পাস এবং হল বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া আশপাশের আবাসনগুলো বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে; যদিও সেগুলোর ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বেশি জোর খাটানোর সুযোগ নেই।
এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনার পরপরই সকাল থেকে চবি আবাসিক হল ছাড়ছে শুরু করেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হল ত্যাগ করা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহত হওয়া নিয়ে ভয় ও শঙ্কা বিরাজ করছে।
এছাড়া ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিবে এমন চিন্তা করে হল ছাড়ছেন তারা। এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই মাসে কোনো ক্লাসই হয়নি। চলছে অচলাবস্থা।
এদিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হাতে শিক্ষার্থী নিহত হলো। সব নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। তাই বাড়ি ফিরছি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সহকারী সচিব কাজী মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় দেশের সকল পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজসহ সকল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদানের নিমিত্ত নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।