সরকারি শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।
পরে সচিবালয়ে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি যে শূন্য পদগুলো আছে, সেগুলোতে নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে একটি নির্বাচনি ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়কে উনি নির্দেশ দিয়েছেন, ইশতেহারে ওই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে ভিত্তি করে তারা যেন এখনই কর্মপরিকল্পনা নেন। এবং সেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে মনিটরিং করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।’
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, কৃষি উৎপাদনের কথা উনি বলেছেন। কৃষি উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন এবং একই সাথে কৃষিপূর্ণ সংরক্ষণের সংরক্ষণাগার ইতোমধ্যে কিছু তৈরি করা হয়েছে আরো তৈরি করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চারটি স্তম্ভের কথা আমরা জানি। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ- এই চারটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে সকল মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে যে ওই মন্ত্রণালয় যে অংশের সাথে জড়িত, সেই অংশটুকু যেন তারা পরিকল্পনা এবং সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করে।
দুর্নীতির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার কথা বলেছেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে উনার জিরো টলারেন্স থাকবে। এবং সকলকে একই নীতি অনুসরণ করার জন্য উনি নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আরেকটি কথা তিনি বলেছেন যে যে প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে সেগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য উনি নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কিভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, সেটি খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করে যেন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয় এবং সে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় সেটির জন্য উনি বলেছেন।’