সবারবেলায় সত্য বলি

ঢাবিতে ভাইভা দিলেন জিকো-মোরসালিন

আশি-নব্বইয়ের দশকে বিভিন্ন খেলার তারকা খেলোয়াড়রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। অনেক খেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলই ছিল অনেকটা জাতীয় দলের মতো। সময়ের পরিক্রমায় সেই আবহ ছিল না বেশ কয়েক বছর। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তিতে বাড়তি কোটা যোগ হওয়ায় আবার ঢাবিতে তারকা খেলোয়াড়রা ভর্তি হচ্ছেন।

সিনিয়র জাতীয় দল অথবা বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলে খেলা খেলোয়াড়রা কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই সরাসরি সাক্ষাৎকার প্রদানের মাধ্যমে ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে দু’টি ইউনিটে খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি চূড়ান্ত হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন টেবিল টেনিসে দুই জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মোহতাসিন হৃদয় ও সাদিয়া ইসলাম মৌ। বিজ্ঞান অনুষদে আরো অনেক ক্রীড়াবিদ আবেদন করলেও সাক্ষাৎকারে ও মানদন্ডে বাদ পড়েছেন অনেকেই। বিজ্ঞান অনুষদে দুই জাতীয় টিটি চ্যাম্পিয়ন ও এক নারী জাতীয় দাবাড়ু ভর্তির জন্য বিবেচিত হয়েছেন।

আজ ছিল মানবিক অনুষদের সাক্ষাৎকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, ‘মানবিক বিভাগে খেলোয়াড়রা বেশিসংখ্যক আবেদন করেছে। প্রায় ১৭৪ টি আবেদন জমা পড়েছে ডিন অফিসে। আজ ছিল ফুটবল ও ক্রিকেটের সাক্ষাৎকার পর্ব। অন্য ডিসিপ্লিনের সাক্ষাৎকার শনিবার।’

আজ মানবিক অনুষদে ভাইভা দিয়েছেন দেশের ফুটবলের উঠতি তারকা শেখ মোরসালিন। তার সঙ্গে নারী-পুরুষ মিলিয়ে আরো বেশ কয়েকজন ফুটবলারই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। মাঠের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাক্ষাৎকার বোর্ডেও আলোচনা হয়েছে তাকে নিয়ে, ‘স্যাররা আমার গোল নিয়ে আলোচনা করেছেন। খেলাধূলার বিষয় মূলত আলাপ হয়েছে’ ভাইভা শেষে বলেন মোরসালিন। ভাইভা হলেও বিভাগ নির্বাচন প্রক্রিয়া আরো পরে হবে।

ভাইভা প্রদান শেষে ভর্তি কার্যক্রম সম্পর্কে শারীরিক শিক্ষা পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, ‘ডিন অফিস সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর একটি তালিকা ভর্তি অফিসকে প্রদান করবে। এরপর নির্বাচিতরা ভর্তি হবে।’ সিনিয়র জাতীয় দলে অংশগ্রহণ করেছে এবং ২৩ বছরের কম পাশাপাশি এসএসসি-এইচএসসিতে তুলনামূলক ভালো নম্বর রয়েছে এমন ক্রীড়াবিদরা অনায়াসে ঢাবিতে ভর্তি হতে পারছেন। ফলে মোরসালিন-মৌ’র মতো আরো অনেকেই প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের শিক্ষার্থী হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.