প্রতিবেশী রাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনে বুক বেঁধে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের জন্য অন্ধকার রাতটি হয়ে গেল কমলা রাঙা। ভালো খেলেই জিতে গেল ডাচরা। বাজে খেলার ফল ইডেন গার্ডেন্সে পেল বাংলাদেশ। এই হারে সেমির আশা এখানেই শেষ বাংলাদেশের।
কমলা জার্সিদের ২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪২.২ ওভারে ১৪২ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে হার মানতে হলো ৮৭ রানের।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে ওপেনিং জুটি ভেঙেছিল ১৯ রানে। এরপর ইংল্যান্ডের সঙ্গে ১৪ রানে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ০ রানে, ভারতের সঙ্গে ৯৩ রানে, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ১০ রানে ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ১৯ রানে।
নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ২৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ১৯ রান তুলতেই হারিয়েছে দুই উদ্বোধনী ব্যাটারকে। ১২ বলে মাত্র ৩ রানে ফিরে গেছেন লিটন দাস। আরিয়ান দত্তের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের ওপরেই ক্যাচ তুলে দেন লিটন।
পরের ওভারেই তানজিদ তামিমকে স্কট এডওয়ার্ডসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান লোগান ভন বিক। তিন চারের মারে ১৬ বলে ১৫ রান করেছেন তামিম। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ায় রান তাড়ায় বড় ধাক্কাই খেয়েছে বাংলাদেশ। এই চাপ সামাল দিতে পারলেন না সহঅধিনায়ক শান্ত এবং অধিনায়ক সাকিব। শান্ত ৯ ও সাকিব ৫ রানে আউট হন। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় ৪০ বলে ৩৫ রান করে আউট হয়ে যান সেট হওয়া মিরাজ।
দলীয় ৭০ রানে মুশফিক ভ্যান ম্যাকেরিনের দারুণ এক ইনসুইংগারে বোল্ড হয়ে যান ১ রান করে। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও শেখ মেহেদি জুটি গড়ে তোলেন। দূর্ভাগ্যজনক রান আউটে মেহেদি ফেরেন দলীয় ১০৮ রানে ৩৮ বলে ১৭ রান করে। এরপর গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রিয়াদ ফেরেন ৪১ বলে ২০ রানে ফেরেন ক্যাচ আউট হয়ে। তাসকিন-মোস্তাফিজ জুটি চেষ্টা করেন যতদূর রানটাকে টেনে নেওয়া যায়। কিন্তু, ৪২ ওভারে দলীয় ১৪২ রানে মোস্তাফিজও বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান ৩৫ বলে ২০ রান করে। এর ২ বল পরেই ৩৫ বলে ১১ রান করে আউট হন তাসকিন।
কমলা জার্সিদের পক্ষে পল ভ্যান মিকারেন ৭.২ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। বাজ ডি লিডে ৭ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
আজও ওপেনিং জুটি বাজে শুরু করেছে। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯ রানেই দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ তামিম সাজ ঘরে ফিরে যান। এরপর শান্ত ১১.৫ ওভারে ৪৫ রানের মাথায় আর অধিনায়ক সাকিব ১৫.৬ ওভারে ৬৩ রানের মাথায় ফিরে যান। সর্বশেষ মিরাজ সেট হয়েই ৪০ বলে ৩৫ রানে আউট হয়ে যান দলীয় ৬৯ রানে।
এর আগে ব্যাট করে স্কট এডওয়ার্ডসের ৬৮ রানে ভর করে ২২৯ রানের পুঁজি পায় নেদারল্যান্ডস। একাধিক ক্যাচ মিসের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নিখুঁত ছিল না বাংলাদেশ। ফলে একপর্যায়ে ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারানো ডাচরাই পেয়েছে লড়াইয়ের পুঁজি।