ভারত ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অন্যান্য দেশকে দেওয়া অনুমতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিম্নোক্ত তিনটি শর্তের যেকোনো একটি পূরণ হলে পেঁয়াজের চালান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে।
১. এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে যেসব জায়গার জন্য জাহাজে পেঁয়াজ তোলা হয়েছে।
২. শিপিং বিল জমা দেওয়া হয়েছে; পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজ ইতোমধ্যে ভারতীয় বন্দরে এসে নোঙর করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপনের আগে সেগুলোর রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিশ্চিত হওয়ার পরেই এ ধরনের জাহাজে লোডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হবে।
৩. পেঁয়াজের চালান এই প্রজ্ঞাপনের পূর্বে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে/যেখানে এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে রপ্তানির জন্য চালান কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং এই প্রজ্ঞাপন জারির পূর্বে কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশকরা পণ্যগুলোর তারিখ ও সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণসহ কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে।
এর আগে ২০ আগস্ট ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বিভাগ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০% শুল্ক আরোপ করে, ফলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এরপর ভারত সরকার ২৯ অক্টোবর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য ফ্রি-অন-বোর্ড ভিত্তিতে টন প্রতি ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে।