চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের কাছ থেকে বায়োডাটা আহ্বান করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় বায়োডাটা জমাদানের কার্যক্রম। আর মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ছিল বায়োডাটা জমাদানের শেষদিন। গতকাল পর্যন্ত মোট ১১ দিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই পদে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন ১ হাজার ৩২৫ জন পদ প্রত্যাশী।
এদিকে গতকাল শেষ দিনে পদ প্রত্যাশীদের ভিড় থাকায় বায়োডাটা জমাদানের সময় আরো দুদিন বাড়িয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এই দুদিন মিলে পদ প্রত্যাশীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি এম এ আহাদ চৌধুরী রায়হান বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের বায়োডাটা জমাদানের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। তখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩২০ জনের মতো বায়োডাটা জমা দিয়েছেন। কিন্ত পদপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সময় আরো দুদিন বাড়ানো হয়েছে। এই সংখ্যা দুই হাজার পর্যন্ত যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ কেন্দ্র থেকে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। ইতোমধ্যে চারবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটলেও ১০ বছর ধরে নগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়নি।
২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর ইমরান আহমেদ ইমুকে সভাপতি ও নুরুল আজিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের আংশিক কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালের ১১ জুলাই আগের ২৪ জনসহ ২৯১ সদস্যের নগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। পরে ওই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।