নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের যেমন রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আছে, সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও আছে। যে কারণে এবারের ইলেকশন নিয়ে কোনো কথা বলেনি। তারা জানতো নির্বাচনে আমিই জিতে আসব।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জার্মানি সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে অনুষ্ঠিত হয় ৬০তম মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সাথে আমাদের ভালো একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। ফ্রান্স আমাদেরকে এক বিলিয়ন ইউরো দেবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য। এখন আমরা যেসব প্রজেক্ট করব, সেগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যেন হয়, তাহলে আমরা এসব অর্থায়ন কাজে লাগাতে পারব।
তিনি বলেন, ইউরোপসহ প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের যেমন রাষ্ট্রীয় একটা সম্পর্ক আছে, সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকার কারণে সুবিধা হয়েছে। যে কারণে ইলেকশন নিয়ে আমাদের কেউ কোনো কথা বলেনি। তারা নিজেরাই জানতো যে ইলেকশনে আমিই জিতে আসব। যারা আমাকে চায়নি, তাদের মাধ্যমেই কথা ওঠে, প্রশ্ন উঠে।
পাকিস্তানের নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একটি দেশে নির্বাচনের রেজাল্ট ডিক্লেয়ার করতে ১২/১৪ দিন সময় লাগলেও তাদের ইলেকশন ফ্রি-ফেয়ার। আর বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সাথে সাথে মাত্র ২৪/৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রেজাল্ট এসে গেল, সেটি ফ্রি-ফেয়ার না? সুতরাং এই রোগের কোনো ওষুধ আমাদের হাতে নেই। শক্তি আমাদের জনগণ, আমি সেটাই বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, দেশটিতে (পাকিস্তান) এখনতো বোধহয় একটা সমঝোতায় এসেছে কে প্রেসিডেন্ট হবে, কে কী হবে। এরকম যদি আমাদের দেশে হতো, তাহলে বোধহয় সমালোচনাকারীরা খুশি হতো।