সৌদিফেরত প্রবাসী আবদুল খালেকের ছিনতাই চেষ্টার মামলায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী জাহিদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত রিমান্ড আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো.মফিজ উদ্দীন বলেন, বরখাস্তকৃত এসআই আমিনুল ও সোর্স জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মামলার আই পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। মাননীয় আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার বিকেলে খুলশী থানার এসআই আমিনুল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে সৌদি ফেরত আব্দুল খালেকের ৮টি বালা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। উপস্থিত জনতা তাদের আটকে রেখে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। আমিনুল ও জাহিদকে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা।
এই ঘটনায় থানায় মামলার পাশাপাশি অভ্যন্তরীন তদন্ত করেছে সিএমপি। আমিনুলকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমিনুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তিনি পুলিশে যোগ দেন ২০১২ সালে। আটক সোর্স শহীদুল ইসলাম জাহিদ (৩৫) নগরের বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকার কেবি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দরবেশ হাট শেখ হাজীপাড়া এলাকা আবদুল খালেক ২০ বছর ধরে সৌদিতে বসবাস করেন। গত ১২ মে তিনি দেশে আসেন। প্রবাসে রেখে আসেন ১৬ ভরি স্বর্ণের ৮টি বালা। রোববার (১৯ মে) পরিচিত জনের মাধ্যমে দেশে আনেন সেই বালাগুলো।
প্রবাসী আব্দুল খালেক চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে এসব চুড়িগুলো গ্রহণ করে ৬ নম্বর রুটের বাসযোগে নিউমার্কেট ফিরছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের খুলশী থানার সীমানা টাইগারপাস অতিক্রম করার সময় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে খুলশী থানার এসআই আমিনুল তাকে বাস থেকে নামিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারে নিয়ে যায়।
আব্দুল খালেকের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার অবৈধ বলে কাগজপত্র দেখতে চান এবং একপর্যায়ে ৮টি স্বর্ণের চুড়ি কেড়ে নেয়। পরে আব্দুল খালেককে তিনটি ফেরত দিলেও অন্য পাঁচটি চুড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেও জানা যায়। একপর্যায়ে খালেক তাকে জাপটে ধরে। পরে স্থানীয় লোকজন এবং টহল পুলিশের সহায়তায় আমিনুল এবং সোর্স জাহেদকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার রাতেই ভুক্তভোগী প্রবাসী আবদুল খালেক বাদী হয়ে খুলশী থানায় উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামি করে একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করে সিএমপি। এ ঘটনায় সিএমপির একজন সিনিয়র সহকারী কমিশনারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।