নগরের পাঁচলাইশে ফারহানা ইয়াছমিন রূপা (২৫) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামী-শাশুড়িসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাঁচলাইশ মডেল থানায় রূপার পিতা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন— রূপা’র স্বামী মারুফ মোহাম্মদ নাজবুল আলম (৩৮), ছাবেরা বেগম (৫৬), বেবি আক্তার (৪৫) ও ফরিদা বেগম (৪৩)। তারা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার (বর্তমানে সদরঘাট আইস ফ্যাক্টরি এলাকা) আবদুর রশিদের কন্যা ফারহানা ইয়াছমিন রূপার সাথে সামাজিকভাবে চকরিয়ার চিরিংগা এলাকার (বর্তমানে পাঁচলাইশ-শুলকবহর এলাকা) মৃত ফরিদুল আলমের ছেলে মারুফ মো. নাজবুল আলমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে মাশরুফ আলম নামে ৪ বছরের এক সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে রুপার ওপর নির্যাতন চালাতো। রুপাকে তার বাবার ফ্ল্যাট স্বামীর নামে লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করা হয়।
শনিবার দুপুরে আসামিরা ভিকটিমকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এসব অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে রুপা ওইদিন বিকেল ৫টায় পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন শুলকবহর এশিয়ান হাউজিং সোসাইটির জাকির ম্যানশনের ২য় তলায় একটি কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলা তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।