শহীদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান— তাই তাদের স্মৃতিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বধ্যভূমিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের দেশের যেসব সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা, যারা দেশের মেরুদণ্ড। বুদ্ধিজীবীরা হচ্ছেন সেই মানুষরা যারা শিক্ষায়, চিকিৎসায়, প্রকৌশলে, কৃষিতে, রাজনীতিতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে একটি জাতির উন্নয়ন সাধন করেন। আমরা আজকের দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে এবং শহীদ পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অবশ্যই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা তাদের নাম ও ইতিহাস সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি, সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে, যতদিন ক্ষমতায় থাকব, ততদিন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে চেষ্টা করব এবং তাদের মর্যাদা যথাযথভাবে ফিরিয়ে দিতে সচেষ্ট থাকব। কীভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরো ভালোভাবে তুলে ধরা যায় তা জানতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরামর্শ গ্রহণ করে পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের এবং শহিদদের ইতিহাস ও অবদানের উপর ফলক তৈরি করা হবে, যোগ করেন তিনি।
মেয়র বলেন, আজকের দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, কীভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের একটি বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের উচিত তাদের আত্মত্যাগকে চিরকাল স্মরণ রাখা এবং তাদের দেখানো পথে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা মনে করি, দেশের এই ক্রান্তিকালে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে একটি মেধাবী, দুর্নীতিমুক্ত এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, কারণ ঐক্য ছাড়া এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।
এ সময় মেয়র ডা. শাহাদাতের সঙ্গে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. তৌহিদুল ইসলামসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানসহ কর্মকর্তা, চসিক পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ শিক্ষক এবং কর্মচারি ও মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) প্রমুখ।