নগরের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের আরও ৩৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— বাকলিয়া থানার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন নগর ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল ইসলাম মুন্না (৩৫), মো. শাকিল (২৩), আবদুল হামিদ ওরফে রিপন (৩৬)। সদরঘাট থানার আসামি সাকিব আলম ওরফে মিনহাজ উদ্দিন সাকিব (২০)। চকবাজার থানার আসামি মো. মোর্শেদ আলম (৩৫), মো. জুয়েল।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার আসামি মো. রিপন (৪৫), মো. নগেন (২০)। পাঁচলাইশ মডেল থানার আসামি ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন (৪৩), চান্দগাঁও থানার আসামি আহমেদ (৪৪), মো. ওয়াহিদুল আলম প্রকাশ বাবু, মো. আরমান (৪০), মেহেদী হাসান আকাশ (২২), মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৩), মো. ইদ্রিস (২৭)। বন্দর থানার আসামি মো. অন্তর প্রকাশ মেহেদী হাসান হৃদয়।
খুলশী থানার আসামি ৮ নম্বর শোলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ওরফে আরাফাত হোসেন সাদ্দাম (৩৩)। ডবলমুরিং মডেল থানার সংঘাতে জড়িত ১৪ ও ১৫ বছরের দুই শিশু। আবুল কালাম আজাদ (৫৮), মো. ইউনুছ ইসলাম প্রকাশ তারেক (২৫)। হালিশহর থানার আসামি দিদার (৪২)।
পাহাড়তলী থানার আসামি নগর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অনিক দাশ প্রকাশ নিঝুম (৩১)। আকবরশাহ্ থানার আসামি বেলাল প্রকাশ পানি বেলাল (৪২), ইপিজেড থানার আসামি মো. শাকিল (২৫)।
কর্ণফুলী থানার আসামি জুলধা ইউনিয়নের বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সহসম্পাদক আব্দুস শুক্কুর প্রকাশ সুমন (৩০) ও কোতোয়ালী থানার আসামি মো. জনি (৩০), মো. সোহেল (২১), হাসান (২০), মো. সুমন (২৬), জুয়েল দাস (৩০), মো. রাব্বী (২৪), মো. রাসেল সর্দার (৩২), এবং মোহাম্মদ আলী (৩০)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলা সহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।