নগরের বহদ্দারহাটে ‘হোটেল গুলজার’ নামক আবাসিক হোটেলের বাথরুম থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঝিনুক (৪২) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযানে নেমেছে স্বামী পরিচয় দেওয়া ফরহাদকে আইনের আওতায় আনতে।
গতকাল রোববার রাত ৭টা ৪৫ মিনিটের সময় আবাসিক হোটেলটির একটি কক্ষের বাথরুম থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ; জানিয়েছিলেন চান্দগাঁও থানার ওসি তদন্ত মো. সবেদ আলী। ওই সময় তরুণীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করে থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হোটেলে দুজনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রুম ভাড়া নেন। একজনের নাম দেন লিপি আক্তার অন্য জনের নাম দেন মো. ফরহাদ। তবে তাদের আইডি কার্ড পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে গিয়ে লিপির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা আবাসিক হোটেলটিতে উঠেন। কোনো একসময়ে কৌশলে হয়তো স্বামী পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি পালিয়ে যান। রোববার রাতের দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ রুমের বাথরুমে ওই নারীর মরদেহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। পরে লাশের সুরতহাল শেষে অভিযুক্ত ফরহাদকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
চান্দগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) সবেদ আলী আরও জানান, নিহত নারীর নাম ঝিনুক। সে বিবাহিত। এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানা কোথায় সেটি এখনো জানা যায়নি। ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।