সবারবেলায় সত্য বলি

স্থায়ী জামিন পেলেন ড. ইউনূস

মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী জামিন পেয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন তিনি।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস

তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল-মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন বিবাদী রোববার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছেন। একই সঙ্গে জামিন চেয়েছেন তারা।

এর আগে গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় ড. ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। গত ৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। গত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চার আসামি ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন। গত ১৬ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে।

এর আগে গত বছরের ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান।

এসআই/আজকের বেলা
আজকের বেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

Get real time updates directly on you device, subscribe now.