পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সঙ্গে জোট গঠন করবে না তেহরিক-ই-ইনসাফ- পিটিআই। খবর জিও নিউজের।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার গহর বলেছেন, তারা পিপিপি বা পিএমএল-এনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করছে না।
ব্যারিস্টার গহর দাবি করেন, পিটিআই জাতীয় পরিষদের ১৫০টি আসনে জয়লাভ করার পথে রয়েছে এবং কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক (১৩৪) আসন অর্জন করতে পারবে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩৬টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৫৪টি আসনে জয় নিয়ে এখনো এগিয়ে রয়েছেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। তার দল পেয়েছে ৪২টি আসন।
অর্ধেক আসনের ফল ঘোষণা, এখনো এগিয়ে ইমরান সমর্থিতরা
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। আর ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৬০টি আসন নারীদের ও ১০টি আসন অমুসলিম প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।
এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানজুড়ে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর শুরু হয় ফল ঘোষণা। পাকিস্তানের যে কোনো নির্বাচনের জন্য এই বিলম্বের পরিমাণ অনেকটাই অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।
নির্বাচনের ফল নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কারাগারে বসেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন।
পোস্টে ইমরান খান বলেন, সম্ভাব্য সকল পন্থা অবলম্বনের পরও জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আজ জবাব দিয়েছে। যেভাবে করে আমরা বারবার বলে আসছি, যার সময় এসে গেছে তাকে কোনো শক্তিই প্রতিহত করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।