ইলন মাস্কের স্পেসএক্স (স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজি কর্পোরেশন) প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টারশিপ রকেটের ‘সুপার হেভি বুস্টার’-কে তার উৎক্ষেপণ প্যাডে সুরক্ষিতভাবে অবতরন করাতে সক্ষম হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) স্পেসএক্স তাদের স্টারশিপ রকেটের পঞ্চম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে।
পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি শুরু হয়েছিল টেক্সাসের বোকা চিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সকাল ৮ টা ২৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। প্রায় ৭৪ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌছানোর পর সুপার হেভি বুস্টারটি স্টারশিপ মহাকাশযান থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং লঞ্চ প্যাডে ফিরে আসে। অপরদিকে স্টারশিপ রকেটটি আলাদা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে পড়ে।
স্পেসএক্স তাদের সুপার হেভি বুস্টারকে মাঝআকাশে লঞ্চ টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত বিশাল যান্ত্রিক বাহু ‘চপস্টিকস’ দ্বারা ধরতে সক্ষম হওয়ার মাধ্যমে মহাকাশ প্রকৌশল এবং মঙ্গল গ্রহ ও চাঁদে মানুষ, মালামাল বহনের লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌছে গেছে।
ইলন মাস্ক ২০০২ সালে স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেন। তার লক্ষ্য ছিল ‘মহাকাশ যাত্রার খরচ কমিয়ে মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ স্থাপনের সুযোগ তৈরি করা।’ স্টারশিপ রকেটকে তার প্রতিষ্ঠান এমনভাবেই তৈরি করেছে যা মহাকাশে গিয়ে আবার ফেরত আসবে এবং পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। স্টারশিপ রকেট ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি এবং ১০০ জন আরোহী বহন করার মতো সক্ষমতা রাখে।
স্পেসএক্স প্রথম দিকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। বিশেষ করে তাদের প্রথম রকেট ফ্যালকন ১ এর ক্ষেত্রে। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে ফ্যালকন ১ এর তিনটি উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়। কিন্তু, ২০০৮ সালে চতুর্থ উৎক্ষেপণ সফল হয়, যা এক তরল-জ্বালানি চালিত বেসরকারি রকেট হিসেবে প্রথমবার কক্ষপথে পৌঁছানোর সফলতা অর্জন করে। এই সাফল্য স্পেসএক্সকে নাসার কাছ থেকে বড় চুক্তি পেতে সাহায্য করে, যার মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) কার্গো পরিবহন শুরু করে।