পুলিশ, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের মত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্ডারমাইন করে দেশে শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ‘অবশ্যই গণহত্যা এবং অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হতে হবে, কিন্তু পুলিশ, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্ডারমাইন করে দেশে শৃঙ্খলা রক্ষা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে, সরকার সেদিকেই যেতে যাচ্ছে।’
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘নিজেরা যদি হানাহানিতে লিপ্ত থাকেন, তাহলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে, সতর্ক করে দিলাম। সেনাবাহিনী আপনার জন্য কাজ করে, সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেন, আমাদেরকে আক্রমণ করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘অন্যকোনো আকাঙ্ক্ষা নেই, আমরা দেশ ও জাতিকে সুন্দর জায়গায় রেখে সেনানিবাসে ফেরত আসতে চাই। নিজেরা হানাহানিতে ব্যস্ত বলেই অপরাধীরা সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছে।’
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনো ইফ এবং বাট নেই। কোনো সেনা সদস্য করে নাই। যারা শাস্তি পেয়েছে তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।’
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি জড়িত কি না, তা তদন্ত কমিশন বের করবে। বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। এটা ভালো হবে না।’