আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল— একটি লেয়াজু কমিটি কাজ করবে এবং দু-একদিনের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করবে।
বৈঠকে ১৪ দলের শরিকরা আওয়ামী লীগের কাছে অন্তত ২০টি আসন প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদের জানিয়েছেন, যারা বিজয়ের জন্য যোগ্য তাদেরকেই শুধু মনোনয়ন দেওয়া হবে। কারণ এবারের নির্বাচন একটি ভিন্ন ধরণের নির্বাচন হতে চলেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যদি বিজয়যোগ্য প্রার্থী না হয় তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়ে যাবে। এ কারণেই তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে ১৪ দলের শরিকদের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার অনুরোধ জানান।
এরপর ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে ১৪ দলের নেতারা মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দিনভর এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১৪ দলের জন্য পাঁচটি আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেছে।
যে পাঁচটি আসন শরিক ১৪ দলের জন্য ছেড়ে দিতে আওয়ামী লীগ একমত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— রাজশাহী-২ আসন, এখানে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রতিব্দন্দ্বিতা করবেন, আগে থেকেই এই আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। রাশেদ খান মেনন এবার বরিশাল-২ অথবা বরিশাল-৩ আসন থেকে নির্বাচনে করবেন এবং যে আসনটিতে তিনি নির্বাচন করতে চান তা আওয়ামী লীগ ছেড়ে দেবে। পিরোজপুর-২ আসনটি আনোয়ার হোসেন মনজুর জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে এবং চট্টগ্রামের একটি আসন সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি তরিকত ফেডারেশনের নেতা।
তবে ১৪ দলের পক্ষ থেকে শিরীন আক্তারসহ আরো কয়েকজনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। তাদেরও ১৪ দল আগামী নির্বাচনে প্রার্থী করতে চায়। আরও পাঁচটি আসনের জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ দল নিয়ে ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে না হয় আগামীকালের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এটি নিয়ে কোনো মনোমালিন্য নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।