আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, হত্যা করেছে, এই ব্যবস্থাকে আমরা চাই না। এই ব্যবস্থাকে আমরা বাতিল করিনি। বাতিল করেছে বিচার বিভাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন মরে গেছে, এটাকে জীবিত করার প্রয়োজন নেই। সারা দুনিয়ার কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক সাবের হোসেন চৌধুরী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
কাদের বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। তার বাবা জিয়াউর রহমানও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি যারা চালু করেছে, তারা এদেশের গণতন্ত্রকে বিকাশে বাধা দেবে, এটাই স্বাভাবিক।
আমরা খুব সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব সংকটের প্রভাব প্রতিক্রিয়া থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন নই। আমরা গ্লোবাল পলিটিক্সের বিভিন্ন কারণের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য অংশ। গাজায় যে যুদ্ধ চলছে, ইসরায়েলের যে হামলা চলছে, সুদান আবারও বিভক্ত হওয়ার পথে। এই অবস্থায় আমরা সংকটে আছি। দোষটা বড় বড় দেশের, আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা।
তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি, তা নিয়ে মানুষ দুঃখ-কষ্টে আছে। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, পরিবহনের অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি। এসব সংকট আজ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে একটা সাধারণ জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ যদি বলে এই সংকটের মুহূর্তে এখন নির্বাচন না করতে তাহলে আমরা বলব, আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধান আমাদের নির্বাচন দিয়েই রক্ষা করতে হবে। এটা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাদের এই নির্বাচন করতে হচ্ছে। বিশ্ব সংকটের যে বাস্তবতা, পাশাপাশি আমাদের অপজিশন বিএনপি নির্বাচন শুধু বয়কট করেনি, পন্ড করতে চায়, বানচাল করতে চায়।
মিছিল বিক্ষোভ, সমাবেশ করে নয়; তারা সন্ত্রাস-সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদের সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তারা ৩০০ এর মতো বাসে আগুন দিয়েছে। পুলিশ হত্যা, আনসার সদস্য হত্যা করেছে।— যোগ করেন কাদের।