ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, যা চলতে পারে আরও দুদিন। এরপরে তাপমাত্রা কমে শীত নামবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, হালকা বৃষ্টি ছাড়া মিগজাউম বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এদিকে ডিসেম্বর মাসের কয়েকদিন চলে গেলেও দেশের উত্তরের কয়েকটি জেলা ছাড়া শীত নামেনি সেভাবে। এর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম মঙ্গলবার দুপুরে আঘাত হেনেছে ভারতের অন্ধ্র উপকূলে। এর প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক এলাকায় মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকালে চট্টগ্রামের কোনো কোনো জায়গায় হালকা বৃষ্টিও হয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র গতিতে উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম
আবাহওয়াবিদ বজলুর রশীদ আজকের বেলাকে বলেন, চট্টগ্রামসহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল ও পরশুও এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এই বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীত নামতে শুরু করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এটি স্থলভাগের ভেতরে আরও অগ্রসর হয়ে এবং বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমাগত দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতেও বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।