কারাদণ্ডের পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে বার্সেলোনার হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা এই ব্রাজিলিয়ান রাইট ব্যাককে। দেড় লাখ ইউরো জরিমানা দিতে হবে তাকে। এই অর্থ পাবেন যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া সেই নারী।
ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বার্সেলোনা ও ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার দানি আলভেস। শাস্তি হিসেবে তাকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ স্পেনের একটি আদালত আলভেসের বিরুদ্ধে এই শাস্তির ঘোষণা দেন। ২০২২ সালের ডিসম্বরে বার্সেলোনার একটি নৈশক্লাবে ২৩ বছর বয়সী একট তরুণীর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার অপরাধে এই শাস্তি পেতে হলো আলভেসকে।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে ব্রাজিলের এই রাইট ব্যাককে। দেড় লাখ ইউরো জরিমানা দিতে হবে তাকে। এই অর্থ পাবেন নিপীড়নের শিকার হওয়া সেই নারী। আলভেজের শাস্তির রায়ে স্পেনের আদালত বলেন, ‘ভুক্তভোগীর সম্মতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদীর করা ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’
২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকেই কারাগারে আছেন আলভেস। নিজের পাসপোর্ট স্প্যানিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া ও সব সময় একটি ট্র্যাকার পড়ে ঘুরবেন এমন শর্ত দেওয়ার পরও তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। সাবেক এই বার্সেলোনা তারকার বিরুদ্ধে নয় বছরের কারাদণ্ড ও সঙ্গে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শাস্তি হিসেবে আরোপ করার দাবি করেছিল অভিযোগকারী পক্ষ।
২০২২ সালে বার্সেলোনার একটি নৈশক্লাবে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে আলভেসের বিরুদ্ধে। যদিও ধর্ষণ করার অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখান করে এসেছেন তিনি। তবে নিজের জবানবন্দিও বেশ কয়েকবার পাল্টেছেন বার্সেলোনার হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা এই ব্রাজিলিয়ান রাইট ব্যাক। এখানেই তার দুর্বলতা স্পষ্ট বলে এর আগে দাবি করেছিল বাদীপক্ষ।
একদম শুরুতে সেই নারীকে কখনও দেখেননি বলে দাবি করেন আলভেস। তবে এরপর তিনি স্বীকার করেন, সেই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এবং নিজের বিয়ে ভাঙা ঠেকাতেই প্রথমে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেও স্বীকারোক্তি দেন আলভেস।