বাংলাদেশ আরচ্যারির পোস্টার বয় রোমান সানা আকস্মিকভাবে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ফেডারেশনের কাছে একটি চিঠি দিয়ে তার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান।
বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল প্যারা আরচ্যারির কাজে দেশের বাইরে রয়েছে। দুবাই থেকে তিনি জানান, রোমান ব্যক্তিগত কারণে জাতীয় দলের হয়ে আর খেলতে চায় না। আমাদের বিষয়টি জানিয়েছে।
রোমানের সঙ্গে ফেডারেশনের একটু দূরত্ব চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সেই অভিমানের সুরেই কি অবসরের সিদ্ধান্ত? এমন প্রশ্নের উত্তরে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে মান অভিমানের কিছু নেই। সে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছে।’
রোমান সানার পারফরম্যান্স কিছু দিন যাবত ভালো যায়নি। ইরাকে এশিয়ান কাপ আরচ্যারিতে দলে ছিলেন না। সম্প্রতি র্যাংকিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেননি। টঙ্গীর জাতীয় দলের আরচ্যারি ক্যাম্প থেকেও চলে গেছেন। এই বিষয়ে আরচ্যারি ফেডারেশনের ট্রেনিং কমিটির কর্মকর্তা ফারুক ঢালী বলেন, ‘সে চিঠি দিয়েছে এবং র্যাংকিংয়ে অংশগ্রহণ করেনি৷ তার চিঠি গ্রহণ হবে কিনা সেটা নির্বাহী কমিটির সভার পর বলা যাবে।’
রোমান সানা সতীর্থ আরচ্যারের অসদাচারণের জন্য ফেডারেশন থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন। ফেডারেশন পরবর্তীতে তার শাস্তি প্রত্যাহার করায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবার ফিরে আসেন রোমান। এশিয়ান গেমসেও ছিলেন তিনি।
ফেডারেশনের সুযোগ সুবিধা ও নানা বিষয়ে রোমান প্রশ্ন তুলতেন। ব্যক্তিগত ও অভিমান কি কারণে সেটা জানতে চাইলে রোমানের কাছ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি৷ রোমানের স্ত্রী দিয়া সিদ্দিকী জাতীয় দলের আরচ্যার। তিনিও স্বামীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
আরচ্যারি দলের জার্মান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিক বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ফেডারেশন এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। এটি খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ও ফেডারেশনের বিষয়।
২০২০ টোকিও অলিম্পিকে রোমান সানা নিজ যোগ্যতায় খেলেছিলেন। যা বাংলাদেশের জন্য বিশাল অর্জন ছিল। ঐ অর্জনের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে এবার প্যারিস অলিম্পিকে তার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফেডারেশন ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য তার নাম পাঠায়নি (পারফরম্যান্স বিবেচনায়) এবং সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার সুযোগও আর নেই সেই অর্থে তার জন্য।