ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষ-সহিংস অস্থিরতায় টানা ১০ দিন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকার পর ধীরগতির ইন্টারনেট চালু হলেও অনলাইনকেন্দ্রিক সব ধরনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যার কারণে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ওয়াসার মতো জরুরি সেবার বিল পরিশোধে গ্রাহকদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশে যেখানে মানুষের সব ধরনের কার্যক্রমই ইন্টারনেটনির্ভর, সেখানে এভাবে ইন্টারনেট সংযোগ ধীরগতির করে রাখা দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করার শামিল।
তাই সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত স্বাভাবিক গতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট চালু করে দেশের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্য, দৈনন্দিন কার্যক্রমসহ অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল করার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি।
বুধবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।
ক্যাব নেতারা বলেন, পুরো বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও উন্নয়নের কারণে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক বিকাশ ঘটায় নিরবচ্ছিন্ন ও গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এখন মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ও ধীরগতির করে রেখে কোনো সরকার সেই অধিকার খর্ব করতে পারে না। সরকারের এই আচরণ পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য ও অগণতান্ত্রিক।
প্রযুক্তি খাতে অনলাইন ব্যবসা ও ফ্রিল্যান্সিং কার্যক্রমে বড় ধরনের ধস নেমেছে। যদিও পোশাক খাত ও রেমিট্যান্সের পাশাপাশি এক দশকে বাংলাদেশের তরুণেরা ফ্রিল্যান্সিং করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছেন। ইন্টারনেট সেবার বেহাল দশা সেই খাতকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।