সীতাকুণ্ডে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে উসকানিমূল স্লোগানকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট কে এম উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনকে সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতের মধ্যে চারজনকে উপজেলার ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) হাসপাতালে, একজনকে চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি হাসপাতাল আল আমিনে এবং দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন তার অনুসারীদের নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শোভাযাত্রা করে ফৌজদারহাট কে এম উচ্চবিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তারা ওই এলাকায় অবস্থান করছিলেন। বেলা ১টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান তার অনুসারীদের নিয়ে আরও একটি শোভাযাত্রা বের করে একই শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান। এ সময় উভর পক্ষের লোকজন উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে। এতে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়।
এরপর উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে জাহিদুল হাসানের পক্ষের লোকজন মহিউদ্দিনের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে।
জাহিদুল হাসান জানান, যখন তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান, তখন সভাপতির পক্ষের লোকজন উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়াতে সংঘর্ষ বাধে। বেলা ৩টার দিকে মহিউদ্দিনের লোকজন তার ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তার পক্ষের লোকজন গিয়ে মহিউদ্দিনের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে স্বীকার করেন তিনি।
তবে এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিনের বলেন, বেলা ১টার দিকে জাহিদুল হাসানের পক্ষের লোকজন এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তার পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের বিবাদ শুরু হলে তারা উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুই পক্ষের উত্তেজিত লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তারা। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো মামলা করেনি।
জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।